নূরুন্নাহার নূর, (তাড়াইল) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে শতবর্ষী দুটি পুকুর ভরাট ও বিক্রি সংক্রান্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ ও স্থানীয়-জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শনে আসেন কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল।
আজ (১ এপ্রিল) ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মতিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রতিনিধিগণ এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ ও বিবাদী আহমেদুল কবির প্রিন্সসহ এলাকাবাসীর মতামত গ্রহণ ও নালিশা বিল ও পুকুরের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন।
অভিযুক্ত প্রিন্স জলাধার ভরাট করেছেন মর্মে স্বীকার করলে প্রতিনিধি দল তাকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুনঃ খননের মৌখিক নির্দেশ দেন।
তাছাড়া অভিযোগটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রমাণসহ আগামী ১৫ এপ্রিল সকাল ১১ টায় কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল পূর্বক শুনানিতে অংশ গ্রহনের জন্য বাদী ও বিবাদীকে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মতিন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়।
পত্রে ঠাকুর বিল ও একই এলাকার অপর একটি পুকুর ভরাটের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন এবং এর ফলে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বিধায় বর্ণিত কার্যক্রম বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
উক্ত অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে উল্লেখ করা হয়।