সড়কের পাশে ঘুরাঘুরি করছিল সখিনা আক্তার(৩০) নামে এক আট মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা নারী। এক বার সড়কে ও পাশে এক বার এপাশে। যানবাহন দেখে আবার তার নিচে পড়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশকে অবহিত করলে এসএসআই মোছা. ফারহানা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এমন ঘটনা ঘটে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নে।
বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) দুপুরে অন্ত:স্বত্ত্বা নারীকে তার মা ছমিরন বানুর কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সখিনার আক্তারের বাড়ি কোনাবাড়ি গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ির দেওলাবাড়ি এলাকায়। সে ওই এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানায় – গত বুধবার দুপুরে বেতাগৈর এলাকায় গাড়ীর নিচে বার বার পড়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে অন্ত:স্বত্ত্বা নারী। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। প্রথমে তার নাম পরিচয় বলতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে রাত ১১ টার দিকে নাম ঠিকানা বলে।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তি মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত করে। সখিনা আক্তারের মা কে জানালে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় এসে মেয়েকে নিয়ে যায়।
এদিকে ৮ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা নারীকে থানায় যেখানে রাখা হয় সেখানে একটি কাঁচের টেবিল ভেঙ্গে ফেলে।
অন্ত:স্বত্ত্বা নারী সখিনার মা ছমিরন বলেন, মেয়েটি বিয়ে হয়েছিল। গত দুই বছর আগে জামাই মেয়েটি রেখে চলে যায়। সে থেকে সে মানসিক সমস্যা হলে ঘুরাফেরা করতো। এহন তার পেটে ৮ মাসের বাচ্চা তার পরিচয় তো দিতে পারবো না। আগে বাচ্চা জন্ম হউক পরে দেখি কি করা যায়।
নান্দাইল মডেল থানা এএসআই মোছা. ফারহানা বলেন, অন্ত:স্বত্ত্বা নারী গাড়ীর নিচে পড়ে আত্নহত্যা করে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে তাকে নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সে সহায়তার মাধ্যমে তার সেবাও প্রদান করা হয়।