গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ইউনিয়নের জনগণের সেবা ও সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে চান উচ্চ শিক্ষিত-সৎ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি, অসহায়-দরিদ্র মানুষের আলোকবর্তিকা মামুনুর রশিদ।
তিনি বর্তমানে ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। একাধারে একজন সফল ব্যবসায়ী। পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন রাজধানীর প্যারামাউন্ট হিমাগারের।
এছাড়াও ভাই ভাই ট্রেডার্সের ওনার এবং সিইও, বাংলাদেশ ফুডস্টাফস ইমপোর্টার্স এন্ড সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের (বাফিসা) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮২ সালের ১৭ জানুয়ারি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে তার জন্ম।
পিতা মৃত মো: রহমত আলী ও মাতা মাজেদা বেগম দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে মামুনুর রশিদ চতুর্থ।
প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়েছেন স্থানীয় ঘোরশ্বাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মাধ্যমিক কামারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, উচ্চ মাধ্যমিক মনোহরদী ডিগ্রি কলেজ ও স্নাতক সম্পন্ন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত। সেই নব্বই দশক থেকে এখনো পর্যন্ত দলের পাশে রয়েছেন তিনি, এমনকি দলের দুঃসময়েও।
৯০ দশকে তিনি ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পর্যায়ক্রমে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক, পরবর্তীতে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক।
এছাড়াও কাপাসিয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, পরবর্তীতে জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি গাজীপুর জেলা যুবদলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন।
গত শনিবার কথা হয় এই প্রতিবেদককের সঙ্গে এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত ও আদর্শ নিয়ে কৈশোর থেকে বেড়ে উঠা।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে রাজনীতি করি ও সবসময় নিজের সাধ্যমত বিভিন্ন সময় সহযোগীতা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, মানবতার প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একজন যোদ্ধা হিসেবে সবসময় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে থাকি।
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও ঘাগুটিয়া ইউনিয়নসহ নিজ গ্রামের হাজারো মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের লক্ষ্যে সহযোগীতা করেছি। বিভিন্ন দ্বাতব্য ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
মহামারী করোনা কালীন সময়ে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র, আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এছাড়াও সামাজিকভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের লক্ষ্যে অনুদান প্রাপ্তিতে ভুমিকা রেখেছেন। এলাকার কিশোর ও যুবকদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ বাড়াতে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করছেন তিনি। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আগামী ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার। কারণ দলের দুঃসময়ে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছি, এখনও করছি।
হয়তোবা আরো অনেকেই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করবে। তবে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কখনো কাজ করবেন না বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য সময়কার চেয়ারম্যানদের মতো নয় নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করতেই সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাবেন। জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ইউনিয়নবাসীর সেবা করার ইচ্ছে পোষণ করেন তিনি।