১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| রাত ২:০৫| শরৎকাল|

ইরাসমাস মুন্ডুস স্কলারশিপের জন্যে মনোনীত হলেন নোবিপ্রবির মহিউদ্দিন মানিক

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, মার্চ ২২, ২০২৪,
  • 37 Time View

মিলন হুসাইন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ১১ বাচের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন মানিক। তিনি মূলত সামুদ্রিক শৈবাল (সীউইড) ও বাইভালভ নিয়ে প্রায় ৩ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন।

ইরাসমাস মুন্ডাস ACES-STAR প্রোগ্রামটিতে ইউরোপের তিনটি দেশে (স্কটল্যান্ড,ফ্রান্স,গ্রীস) বিশ্বব্যাপী অ্যাকুয়াকালচার সম্পর্কে বিশেষ করে সীউইড ও বাইভালভ নিয়ে আরো জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ রয়েছে তিনি যখন এই বিষয়গুলো জানতে পারেন তখন তিনি কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করে তিনি মনোনীত হয়েছেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স ও জয়েন্ট মাস্টার্সে পড়াশোনার সুযোগ দেয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে তিনশ’র বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৮৫টি প্রোগ্রামে ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী ও ১৫০০ জনের মতো পিএইচডি শিক্ষার্থী প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।

বিশেষ করে জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৪টি সিমেস্টার ভিন্ন দেশে ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। প্রত্যেক দেশ থেকেই আলাদা মাস্টার্স ডিগ্রির সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এই স্কলারশিপের মাধ্যমে।

স্কলারশিপ নিয়ে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চায় তাদের বিষয়ে মহিউদ্দিন মানিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চায় তাদের জন্য ইরাসমাস মুন্ডাস মাস্টার্স স্কলারশিপ খুবই ভালো একটা সুযোগ।

বিশেষত যারা ফিশারীজ, মেরিন সায়েন্স এর ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছাত্র ছাত্রী তাদের জন্য খুবই ভালো একটা প্রোগ্রাম হল ACES-STAR। যারা বাইরে মাস্টার্স করতে চায় স্কলারশিপ নিয়ে তারা অনার্স ফাইনাল ইয়ার থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। IELTS এ মিনিমাম ৬.৫ পেতে হবে এবং গবেষণা কাজে যুক্ত হতে হবে যাতে করে ১-২ টা পেপার ভালো জার্নালে পাবলিশড থাকে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্কলারশিপ পেতে”।

তিনি মৎস্য ও সমুদ্র ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমাদের দেশে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সম্পদ রয়েছে। আমাদের মতো শিক্ষার্থীরা যদি এই প্রোগ্রামের আওতায় আসে তাহলে সামুদিক সম্পদ যেমন মাছ, সীউইড, সামুদ্রিক ঝিনুক ইত্যাদি সম্পর্কে, তাদের চাষ সম্পর্কে এবং বানিজ্যিকভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পন্য উৎপাদন নিয়ে ব্যাপক পরিসরে জানতে পারবে যা বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে প্রয়োগ করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ