‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির মতোই কায়দা করে আমার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দীর্ঘদিন যাবৎ দখলে করে এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক,আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই— এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী মো. মাহবুবুল আলম। তিনি পেশায় একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকারী(কাজী)।
গত মঙ্গলবার মাহবুবুল আলম নিজের ক্রয়কৃত জমিতে গেলে বিপরীত পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ তার ওপর চড়াও হন। এসময় আত্নরক্ষার্থে তিনি চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা গ্রামে। এদিকে ঘটনার দিন বিকেলেই ভুক্তভোগী মো. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মো. রফিকুল ইসলামকে (৬০) প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের মো. আজাদ (৪৫), মো. আঃ রাশিদ (৫২), মোঃ সুলমান মিয়া (৩৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৫), মোঃ সালমান মিয়া (২৩), মো. আতিকুল ইসলাম (২২), মো. আহাম্মদ আলী (৬২), মো.মোর্শেদ মিয়া (৫৬), মোঃ ফাহিম মিয়া (৩০)। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘আমার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে উচাখিলা মৌজার হাল দাগ ২৬৯ (সাবেক দাগ-১২৭৭০) দাগে সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি। জমি কেনার পর প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক দখল করে রাখে। গত মঙ্গলবার আমি জমিতে গেলে তাদের সহযোগী লোকজনদের নিয়ে আমার ওপর আক্রমণ করতে এসে আামকে হত্যার হুমকি দেয়।
তারা খুব প্রভাবশালী, গুন্ডা ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। এমতাবস্থায় আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই আমি আমার কষ্টার্জিত জমি ফেরত ও বিবাদীদের শাস্তি দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের একজন আঃ রাশিদ বলেন’ এধরণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।