রাকিবুল ইসলামের এই কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প জানতে চাইলে তিনি সময় খবরকে জানান যে – তিনি টিউশন ও উপবৃত্তি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ২০১৯ সালে একটি মুরগির খামার শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে তিনি মুরগি খামারে পুজি বিনিয়োগ করে লাভ করতে পারেননি। কারণ হিসেবে তিনি জানান নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে অনেক কিছু বুঝে উঠতে ব্যার্থ হন। তারপর ধৈর্য্য রেখে ২০২১ সালে তিনি মাগুরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নিকট যান এবং সেখান থেকে গাভী পালনে কিছু কম্পোট উৎপাদন এবং মৎস্য চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও ঋণ সহায়তা নিয়ে খামার শুরু করেন। এবার তিনি ২২৫ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে সফলতা পান। এভাবে তার যাত্রা শুরু সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে।
বর্তমান তিনি ১১৫ শশতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। তার মৎস্য খামারে টেংরা বাইন পুটি মাছের রেনু তৈরি করা হচ্ছে যা নতুন কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে আলাদা দৃষ্টান্ত।
তার এই খামারে তিনি নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন পাশাপাশি এলাকার বেকারদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে এসেছেন। তার খামারে এখন প্রতিদিন পার্ট টাইম ১০ জন লোক কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি সব সময় দরিদ্র বিপদগ্রস্ত মানুষদের বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করে থাকেন।
রকিবুল ইসলামের কাছে তার খামার ও কর্মসংস্থান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান – সম্প্রীতি তিনি তার এলাকায় বীজ গ্রাম নামে পরিচিত করার পরিকল্পনা করেছেন। এছাড়াও তিনি রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিভিন্ন মাদ্রাসার সহযোগিতা মার্কস বিতরণ, বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।