মো. আনোয়ার হোসেন রাজ, কচুয়া (চাদঁপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দায়িত্বে অবহেলা এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মাহমুদা আক্তার নামে এক শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি উপজেলার চাঙ্গিনী নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গনিতের সহকারি শিক্ষিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাহমুদা আক্তার ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর ও চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সরকারি আদেশ মোতাবেক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকেও জাতীয় অনুষ্ঠান পালন না করা, বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকা, পাঠদানে অদক্ষতা এবং বিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদান করে আসছিলেন।
ফলে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অফিস সহায়ক ও করনিকের মাধ্যমে উপস্থিত শিক্ষকদের উপস্থিতিতে মাহমুদা আক্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে তিনি তা গ্রহন করবেন না বলে জানান।
পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে (যার রশিদ নং-৩৪৩ ও ৩৪৪) তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানাযোগে আবারও নোটিশ প্রেরণ করলে এতেও তিনি নোটিশ গ্রহণ না করায় ফেরত আসে।
পরবর্তীতে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে চাকরি হতে বিধি মোতাবেক মাহামুদা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তের নোটিশ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়কের মাধ্যমে মাহামুদা আক্তারের কাছে পাঠানো হলে এটাও তিনি পড়ে গ্রহণ করবেন না বলে জানান। পরবর্তীতে পুনরায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে তাকে বরখাস্তের নোটিশ পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, বিগত দিনে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে তাকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করেই নিজের খাম খেয়ালি ও ইচ্ছে মতো কাজকর্ম করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ পাটোয়ারী জানান, সহকারি শিক্ষিকা মাহামুদা আক্তারের বিগত অনিয়ম কর্মকান্ড নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে কারন দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই শিক্ষিকা নিজের খাম খেয়ালীভাবে তার কর্ম পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকা মাহামুদা আক্তারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।