নান্দাইল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে কাজের বিনিময়ে (কাবিটা) তিনটি প্রকল্পের ২০ লাখ টাকা কাজ না করেই উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুস সালাম এমপির ভাতিজা নান্দাইল উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু নাঈম ভূঁইয়া ফারুক ও পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা খালিদ খোকনের বিরুদ্ধে। তিনটি প্রকল্প ঘুরে কাজননা করার সত্যতা পাওয়া যায়।
নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরে নান্দাইল ইউনিয়নের সাভার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রচীর নির্মাণে ১০ লাখ টাকার কাবিটা প্রকল্পের কাজ পায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ভাতিজা আবু নাঈম ভূঁইয়া ফারুক। কিন্তু কাজ না করে সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করে নিয়ে গেছে প্রকল্পের সভাপতি আবু নাঈম ভূঁইয়া ফারুক তিনি নিজেই।
অন্যদিকে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. মোস্তফা খালিদ খোকন হযরত জাহাঙ্গীর শাহ্ (র.) মাজার প্রবেশ রাস্তা আরসিসিকরণ প্রকল্প ৬ লাখ টাকা ও জাহাঙ্গীর শাহ্ মাজার সংস্কার ৪ লাখ টাকার দুটি কাবিটা প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে প্রকল্পের সভাপতি মো. মোস্তফা খালিদ খোকন।
জাহাঙ্গীর শাহ্ মাজার কমিটির সদস্য খন্দকার জাফর সাদিক বলেন- মাজারের রাস্তার জন্য জায়গা দিয়েছি তবুও কাজ হয়নি। আর মাজার সংস্কারও হয়নি। শুনেছি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুটি প্রকল্পের সভাপতি মো. মোস্তফা খালিদ খোকন বলেন- আমি একজন ঠিকাদারকে কাজের জন্য দিয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার কাজ করছে না। দেশের পরিস্থিতি ভাল না স্বাভাবিক হলে কাজ করে দিব।
অন্যদিকে একটি প্রকল্পের সভাপতি আবু নাঈম ভূঁইয়া ফারুক বলেন- আমি প্রকল্পের অর্থেক টাকা উত্তোলন করেছি। বাকি অর্থেক টাকা পিআইও দেয়নি। তারা যদি টাকা না দিলে আমি কাজ করবো কি দিয়ে? আর টাকা না দিলে আমার উত্তোলনকৃত টাকা ফেরত দিয়ে দিব।
নান্দাইল উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বলেন- আমি প্রকল্পের সভাপতিদের কে বলেছি কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য।