ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
সৌদি আরব প্রবাসী ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের সাথে সখ্যতা গড়ে স্ব-পরিবারে কানাডায় নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্নগোপন করেছিল সজিব রহমান নামে তার এক কর্মচারী।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর সহযোগী সোহেল রানা ও প্রতারক সজিব রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত (৩ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গোদারাঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই ও হুমায়ুনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবে ব্যবসা শুরু করে স্বচ্ছলতার সাথে দিন যাপন করে আসছিলেন হুমায়ুন ও তার পরিবার।
হুমায়ুনের দোকানে কাজ করার সুবাদে সখ্যতা গড়ে উঠে নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার আব্দুস ছাত্তার প্রমানিকের ছেলে সজিব রহমানের সঙ্গে। এক পর্যায়ে কানাডায় যাওয়ার কিছু কাগজপত্র দেখায় সজিব। নিজে যাওয়ার পর হুমায়ুনের পরিবারসহ কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এ সুযোগে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক, বিকাশ বা কখনো নগদ অর্থ নিতে থাকে। এভাবে প্রায় দুই কোটি টাকা খুইয়ে সৌদি আরবের ব্যবসাও বন্ধ করে দেশে এসে মানবেতর জীবনযাপন করছে হুমায়ুন ও তার পরিবার।
প্রতারণার শিকার হুমায়ুন কবির বলেন, আমি তার প্রতারণার শিকার হয়ে সব হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছি। প্রতারক গ্রেফতার হয়েছে শুনে একটু আশার সঞ্চার হয়েছে। আমি আশা করি আমার সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবো এবং প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
এ বিষয়ে পিবিআই এর ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার জানান, ঘটনার পরেই আসামী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। এমনকি সে তার পরিবারের লোকজনদের সাথেও যোগাযোগ করত না।
ধূর্ত সজিব লোকচক্ষুর অন্তরালে নতুনভাবে জীবন যাপন করতে থাকে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে সহযোগী আসামী সোহেল রানা ও প্রতারক সজিব রহমানকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রতারক সজিব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।