কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের হতদরিদ্র নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপিঠ যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘ সময়েও আধুনিক বহুতল ভবনের নির্মাণ বরাদ্দ না হওয়ায় প্রতিনিয়তই পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের হতদরিদ্র নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপিঠ হিসেবে পরিচিত যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯২ইং সনে গ্রামের মহৎ ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় স্থাপিত হয়।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই যাত্রাপুর ইউনিয়নের অসংখ্য নারী গ্রামে থেকেও শিক্ষার সুযোগ লাভ করছে।
সামান্য বেতন দিয়েই গ্রামের হতদরিদ্র অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার বিকাশ ঘটাচ্ছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষা অর্জন করছে।
অথচ যাত্রাপুর ইউনিয়নের অনন্য এই বিদ্যাপিঠে বাউন্ডারী ওয়াল নেই, অপর্যাপ্ত আধাপাকা শ্রেণি কক্ষ, নেই কোন শহীদ মিনার ও গেট।
যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ৪২৮ জন এবং ১২ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী দিয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় ছাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সবচেয়ে বড় সমস্যা কয়েক দফায় যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সরকারি ভাবে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করা হলেও অদ্যবধি বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি।
যে কারণে নারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম এই বিদ্যাপিঠে বর্তমান সময়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণি কক্ষের অভাবে পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এব্যাপারে যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ কাশেম আলী জানায়, যাত্রাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে আধুনিক বহুতল ভবন না থাকায় শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বর্তমান সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টির আশু সমাধান কামনা করছি।