মহিউদ্দিন রানা, নিজস্ব প্রতিবেদক (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাড়ির সীমানায় শ্যাওড়া গাছের পাতা কাটাকে কেন্দ্রকরে মারধরের ঘটনায় মো. আব্দুল গণি (৬০) নামে এক আহত ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।
১৭ এপ্রিল সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুরিয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল গণি ওই এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুইজন। তাঁরা হলেন- নিহত আব্দুল গণির বড়ভাই মো. মোসলেম উদ্দিন (৬৫), স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন (৫০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঘরের পেছনে শ্যাওড়া গাছের পাতা কাটতে যান আব্দুল গণি।
এসময় তারই চাচাত ভাই মো. নুর নবী (৫২) বাঁধা দেয়। এরপর দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে নুর নবীর তিন ভাই মো. রতন (৫০), জহির উদ্দিন (৫৫) এবং মো. আবুল হাসেমসহ (৬০) তাঁদের ছেলেরা এসে আব্দুল গণিকে লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথায় বেধড়ক আঘাত করতে থাকে।
এসময় স্বামীকে বাঁচাতে দৌড়ে যান স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন এবং বড়ভাই মোসলেম উদ্দিন। পরে তাঁদেরসহ তিনজনকে একত্রে বেধড়ক মারধর করে সেখানেই ফেলে যান অভিযুক্তরা। ওই অবস্থায় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকেই উদ্ধারকরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান আব্দুল গণি। এ দিকে মারা যাওয়ার খবর শুনেই বাড়ি-ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা।
নিহত আব্দুল গণির ছেলে মো. সোহেল মিয়া বলেন, ‘জায়গা-জমি নিয়ে পূর্ব থেকেই এদের সাথে আমাদের শত্রুতা ছিল। সেই রেশ মিটাতেই আমার আব্বাকে হত্যা করেছে ওরা। আমার আম্মার মাথায় দা দিয়ে কুপানোয় ২৩ টি সেলাই লেগেছে। জেঠার অবস্থাও ভালোনা। আমার আব্বাকে যারা হত্যা করেছে আমি এদের ফাঁসি চাই।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘তুচ্ছ কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তির মৃত্যু ময়মনসিংহ মেডিকেলে হয়েছে। সেখানে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত হচ্ছে। তাছাড়া এ ঘটনায় মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’