চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মাধাইপুর টু আড্ডা রাস্তার পাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় চলছে রাস্তার রেখে অবৈধভাবে ইট-বালুর ব্যবসা। স্তূপ করে রাখা হয়েছে এসব ইট- বালু, আর এ স্তূপ থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে ধুলাবালু। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গদি বসিয়ে চলছে এই ব্যবসা, জনবসতি ও মূল সড়কের পাশে অনেক জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বালুর উঁচু স্তূপ। এই স্তূপ থেকে বালু বাতাসে উড়ে রাস্তায় এসে পড়ছে। স্তূপ থেকে ঢাকনাবিহীন ড্রামট্রাক, মাহিন্দ্রার ট্রাক্টর, ট্রলি ও বোঝাই করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বালু নেওয়া হচ্ছে।
এতে পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা বালুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া বালু উড়ে আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধুলাবালুর কারণে স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী ও পরিবহনের চালফেরাও পড়েছেন বিপাকে।
পথচারী সাহিন আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মনিরুল ইসলাম। এতে মানুষ, পরিবেশ ও রাস্তাঘাট নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থী, পথচারী, নারী ও শিশুরা বালুর কারণে নানা অসুখে ভুগছেন। বিশেষ করে সর্দি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু ইট বালু রাস্তার উপর আমার আছে। বাকিগুলো রহনপুর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ঠিকাদারের।’
এই বিষয় পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে সে দুইদিন সময় চেয়েছে। এর মধ্যে এইগুলো অপসারণ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই বিষয় গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, এ বিষয়ে অবগত নই। তবে আমার পক্ষ থেকে তাদের এই অবৈধ কার্যক্রম উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে সাহায্য করবো।’
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আঞ্জুম অনন্যা বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’