ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে পাইকগাছার গড়ইখালী বাজার সংলগ্ন শিবসা নদীর তীরবর্তী আশ্রায়ন প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্রকল্পের প্রায় ১৪০ টি ঘর-বাড়ী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সুপেয় পানি সংকটে রয়েছে প্রকল্পের প্রায় ৫শ এর অধিক মানুষ। ফলে পানি-বাহিত রোগে ভুগছে শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের ৫০/৬০ মানুষ।
সোমবার সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুপেয় পানি সংকটের কারনে ছোট-বড় আবাল বৃদ্ধদের মধ্যে অনেকে ডায়রিয়া, জ্বর সর্দি কাশির মতো পানিবাহিত রোগে ভুগছেন। জানা যায়, অত্র আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরগুলো গত বিশ বছর আগে করা হয়েছিলো। কালের বিবর্তনে টিনের ঘর সহ বাথরুমগুলো নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও সম্প্রতি মুজিব বর্ষের ৩৫ টা ঘর করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে ৫শ এর বেশি মানুষের বসবাস এখানে। এবিষয়ে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মোমেনা, দুলালি, মোজিদা, ছায়রা ও অন্তরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আমরা দাবী জানাই সুপেয় পানি, বাথরুম ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে আমাদের মানবেতর জীবনযাপন থেকে রক্ষা করবেন।
এদিকে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু’র নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত খুদখালী,কুমখালী সহ শিবসা নদীর তীরবর্তী উল্লেখিত আশ্রায়ন প্রকল্পে ৬ দিন ধরে জোয়ারের পানি ঠেকাতে সেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করেছেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান কেরু নিজস্ব অর্থায়নে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের শুকনো খাবার ও জরুরি ঔষধ সরবরাহের ব্যবস্থা সহ সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু এ প্রতিনিধি জানান, আশ্রয়ণ প্রকলের বাসিন্দারা চরম দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে।তাদের নেই কোন স্যানিটেশন ও সুপেয় পানীয়জলের সুু-ব্যবস্থা। বাঁধ ভেঙ্গে সব তচনছ হওয়ায় আমি এলাকার লোকজন নিয়ে ৬ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ বাঁধছি। এব্যাপারে তিনি আশ্রায়ণের বাসিন্দাদের প্রতি সরকার বাহাদুরের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।