দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা এবং পুলিশের ওপর হামলা ঘটনার ঘটেছে। হামলা সহিংসতার ৭ দিন পর অবশেষে কাজে যোগদান করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) চট্টগ্রামে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশরা কাজে যোগদান করায় এবার ক্লাসে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক শৃঙ্খলায় কাজ করা শিক্ষার্থীরা।
তবে এর আগে সোমবার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ এর কাজ করতে দেখা যায়। সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ট্রাফিক পুলিশ কাজের ফেরার বিষয়টি চোখে পড়ে। এর মধ্যে নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান জিইসি মোড়ে ডিসি সহ সকল কর্মরত পুলিশ দের কাজে ফিরতে দেখা যায়।
এছাড়াও ১১টার সময় নগরীর টাইগারপাস মোড়ে দেখা গেছে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। নগরী ঘুরে আরো দেখা গেছে আজকে ৭ম দিনে ও বরাবরের মত নগরীর অনেক জায়গায় পুলিশের সাথে আছে বিএনসিসি, স্কাউট এর সদস্যদের।
এদিকে আজ মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইমন একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের এখন ক্লাসে ফেরার সময় হয়েছে মন্তব্য করে পুলিশকে দ্রুত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাজে ফেরায় ট্রাফিক পুলিশকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ভেঙে পড়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। ছাত্র-জনতার সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। সারা দেশে বাহিনীটির থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা হয়।
সেই সাথে পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে সারা দেশের মত চট্টগ্রামও পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।
ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, সোমবার থেকে আমরা জোন ভিত্তিক ট্রাফিক কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করছি। মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরি শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। করতে পারব বলে আশা করছি।