২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| সন্ধ্যা ৬:৫৫| হেমন্তকাল|

চট্টগ্রামে ৯নং মহাবিপদ সংকেত, ৭৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র, ২৯৫ মেডিকেল টিম প্রস্তুত

মো. হাসানুর জামান বাবু, চট্টগ্রাম:
  • Update Time : রবিবার, মে ২৬, ২০২৪,
  • 60 Time View

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম শহরে আকাশ মেঘলা ও হালকা মাঝারি দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম কক্সবাজার জেলায় ০৯নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন।

এদিকে চট্টগ্রামে উপকূলীয় উপজেলা গুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আশ্রয় কেন্দ্রে বা নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।শহরের পতেঙ্গা সহ সাগরের আশপাশের এলাকা থেকে জনগণকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে,সকল ইউএনও কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে ৭৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র, ২৯৫ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক হাজার ১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, ৯টি আর্বান ডিসপেনসারিতে ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালে ৫টিসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে- যার নম্বর ০২৩৩৩৩৫৭৫৪৫। গতকাল শনিবার রাত ৯টায় এবং আজক রবিবার সকাল দশটায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে সন্দীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি ও পূর্ণিমার কারণে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় উপকূলবর্তী এলাকাসমূহ ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের নির্দেশনা দেন।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপি এর ৮৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট এর ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও বিএনসিসি ও স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয় হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ