দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ খালী এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন ও তার বড় ভাই প্রবাসী আবু ছৈয়দ গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে আবু ছৈয়দের স্ত্রী লুৎফুন্নিছা বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ আসামীকে আটক করে।
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চন্দনাইশ প্রেস ক্লাব মানববন্ধন করে আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
১৪ জুন (শুক্রবার) সকালে সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক মাঈনুদ্দিনকে প্রতিবেশী আবদুস শুক্কুর কিরিচ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দেয়। তাকে বাঁচাতে আসা তার ভাই বিদেশ ফেরত আবু ছৈয়দকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে।
তাদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে আবু ছৈয়দের স্ত্রী লুৎফুন্নিছা বাদী হয়ে আবদুস শুক্কুরকে আসামী করে চন্দনাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু আলামত উদ্ধার করেন এবং আসামীকে দুপুরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল ইসলাম।
এদিকে সাংবাদিক মাঈনুদ্দীনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে চন্দনাইশ প্রেস ক্লাব গতকাল শুক্রবার বিকেলে দোহাজারী সদরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দোহাজারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাছির উদ্দীন বাবলু, চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব শফিকুল ইসলাম রাহি, সাংবাদিক যথাক্রমে আজগর আলী সেলিম, এম.এ হামিদ, আবু তালেব আনছারী, শাহনুর দস্তগীর, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, এস.এম রাশেদ জাকের হোসেন, আরফাত হোসেন, আয়ুব মিয়াজী, জাবের বিন রহমান আরজু, মুনতাছির মামুন এবং হকার নুরুল আমিন।
এইদিকে চন্দনাইশে এই নেক্কারজনক নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শান্তি দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ সভাপতি মো. হাসানুর জামান বাবু, ইসমাইল ইমন, আবদুস ছত্তার টিটু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন আকতার, মোঃ এনাম আনছারী দিদারুল আলম প্রমূখ।