মো.ফাহাদ বিন সাঈদ,জাককানইবি প্রতিনিধি :জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত হলো সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ‘জুলাই ২৪ গণ-অভ্যুত্থান প্রেক্ষিতঃ গণমাধ্যমের সংকট-সম্ভাবনা’ শীর্ষক উন্মুক্ত সেমিনার।৫ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারটা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো ফাহাদ বিন সাঈদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদিন সিদ্দিকী, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মিনার রশিদ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান জনি এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড.মো. শফিকুল ইসলাম।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক কলামিস্ট ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মিনার রশিদ বলেন, বর্তমানে পলিটিক্স শব্দটাকে একটা ঘৃণিত শব্দ বানিয়ে ফেলেছে। তিনি প্লেটোর একটা উক্তি থেকে বলেন আপনার পলিটিক্স না করার সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো আপনি আপনার চেয়ে অধম এবং নিচু মানের লোকদের দ্বারা আপনি শাসিত হবেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকতাকে সবার উপরে তুলে ধরতে হবে।বড় বড় কথা বলার লোক আছে কিন্তু কাজ করার মতো লোক নাই। আমাদের সেই লোকগুলো তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একজন সুস্থ মানুষ কখনো দুর্নীতি করতে পারেনা। মানুষের ব্যাসিক নিড যদি ফিলআপ হয় তাহলে ১/২% মানুষ ব্যতিত কেউ অসুস্থ থাকবে না। সমাজকে সুস্থ করতে হলে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে এবং একইসাথে ব্যাসিক নিড ফিলাপ করতে হবে। সাংবাদিকতা চাকরি নয় এটা আদর্শিক একটা পেশা। সাংবাদিকদের যেনো কেউ চাকর বা চাকরিজীবী হিসেবে ট্রিট করতে না পারে।এ ব্যাপারে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের প্রথম স্তম্ভ, চতুর্থ স্তম্ভ নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদিন সিদ্দিকী বলেন,জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে স্পিরিট তা কিছুটা হলেও বাস্তবে এক ধাপ এগোবে।জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই পরিবর্তিত অবস্থা। আমরা যেনো এই স্পিরিট কে রাখি এবং আমাদের কোনো কাজের জন্য যাতে নতুন সমাজ বিনির্মাণে বাধাগ্রস্ত না হয়।
উল্লেখ্য, সেমিনারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত ছিলো। দর্শক এবং অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সেমিনারটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।