
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের ছলিমপুর তরফদার বাড়ির গোঁফেরঘাট বড় জঙ্গল থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পিবিআই ও সিআইডির একটি টিম।
ঘটনাস্থলের পাশ থেকে এক জোড়া সেন্ডেল, একটি ঘামছা ও ব্ল্যাড উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, ছলিমপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (১৪) গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সে মানসিকভাবে অসুস্থ।
রাকিবের পরিবার জানিয়েছে, তিনি গত শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সামনে ঈদ এবং পাশেই বিবৎস মরদেহ পাওয়া যাওয়ায় তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নিখোঁজ রাকিবের হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে রাকিবের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় তোফাজ্জল, রফিকুল, ফারুকসহ আরও কয়েকজন জানান, আজ দুপুর একটার দিকে নাগেশ্বরী নদীর ধারের জন মানুষহীন গহীন জঙ্গলে একদল শিশু ফল খেতে গেলে তাদের চোখে পড়ে মরদেহটি।
এতে তারা ভয় পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে এলাকাবাসীর নজরে আসে। পরে তারা স্থানীয় থানা পুলিশকে অবগত করে।
ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক নাহিদ বলেন, ঘটনাস্থলের পাশ থেকে এক জোড়া সেন্ডেল, একটি ঘামছা ও ব্ল্যাড উদ্ধার করা হয়েছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, “মরদেহটি আংশিক পচে গেছে। দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।