সাইফুল আলম তুহিন,ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ভিত্তিপ্রস্তর পরিষ্কার করায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার যুবক আমিরুল ইসলাম।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের নামাপাড়া এলাকায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে ২০০৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও একাডেমিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্বোধনীয় নামফলকটি পরবর্তীতে আওয়ামী শাসনামলে মূল ক্যাম্পাসের বাইরে রেখে সীমানাপ্রচীর নির্মাণ করে অযত্ন অবহেলায় রেখে দেওয়া হয়। নামফলকের সামনে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় নামফলকের অনেকাংশ। বিষয়টি নিয়ে এতোদিন কেউ কোন কথা না বললেও পাঁচ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আমিরুল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এবিষয়টি নিয়ে ভিডিও আপলোড করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রবিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) নামাপাড়া এলাকায় দিনেদুপুরে আমিরুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করে রাজীব ও তার সহোদর বড় ভাই হাসান তারেক।
হাসান তারেক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক হেলপার পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার ভিত্তি প্রস্তর ভাঙ্গা এবং মাটি চাপা দেওয়ার সাথে সে সরাসরি জড়িত
রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারী আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর খালেদা জিয়ার ভিত্তি প্রস্তর পরিষ্কার করায় রাস্তা আটকিয়ে আমার উপর হামলা করে। আমার কানে ঘাড়ে দুই ভাই মিলে কিল-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে হামলা করে।এবং আমাকে একেবারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচারের পাশাপাশি আমার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করছি।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত হাসান তারেকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই রাজীব মানসিকভাবে অসুস্থ। মারামারির মতো ঘটনা ঘটেনি, তার সাথে তর্কাতর্কি হয়েছে। তবে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। নামফলকের জমিটুকু আমাদের একুয়ারে আমাদের নামে রয়েছে। পরিস্কার করে ওখানের ইঁট বালু সে বাড়িতে নিয়ে যাবে কেন?’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ মনসুর আহাম্মদ বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।