ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ছাগল লালন-পালন দেখতে এসেছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মাহবুবুর রহমান।
এসময় তিনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের সাথে ছাগল পালনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন এবং পরামর্শ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানজিলা ফেরদৌসী।
সোমবার বিকেলে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী খারহর গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলার সুবিধাভোগীদের সাথে নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে দেশী জাতের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল লালন-পালনে সরকারি সুযোগ-সুবিধার সুফল নিয়ে আলোচনা করেন এবং স্থানীয়দের ছাগল পালনে উৎসাহিত করেন।
ত্রিশাল প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২ জন সুবিধাভোগীর প্রত্যেকে দশ হাজার টাকা মূল্যের একটি করে ঘর, ছাগলের দানাদার খাবার, পিপিআর ভেকসিন, কৃমির ওষুধ, ভিটামিন, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। এদের মধ্যে দু’জন সুবিধাভোগী সরকারি খরচে একটি করে বাককিপার (পাঠা) ও একটি করে রঙিন টেলিভিশন পেয়েছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাগল উন্নয়ন কর্মী শাহজাহান কবীর, সুবিধাভোগী খামারী মফিজুর রহমান, জহরলাল রবিদাশ, আব্দুস সাত্তার, জয়নাল আবেদিন, নাজির আহমেদ প্রমূখ।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তানজিলা ফেরদৌসী বলেন, ‘পিপিআর’ ছাগল ও ভেড়ার একটি ভাইরাস জনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৫০-৮০ ভাগ।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে বসবাস করা দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছাগল ও ভেড়া পালন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ওই এলাকায় পিপিআর এর ভ্যাকসিন সময়মতো দেওয়ায় মৃত্যুহার প্রায় শূণ্য শতাংশে নেমে এসেছে। তাই ওই এলাকাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পিপিআর মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন অনেক লাভজনক। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে খামারিরা এখন ছাগল পালনে উদ্যোগী হচ্ছে। এবিষয়ে ওই এলাকার খামারীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে। এটি পালনে পারিবারিক আয় বাড়ে। আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। অন্যদিকে পরিবারের গোশত ও দুধের চাহিদা মেটে। এই জাতের ছাগলের দুধ খুবই পুষ্টিকর এবং এলার্জি উপসর্গ উপশমকারী।’