৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| রাত ১০:৩২| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
রামপুরা থানায় বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের সঙ্গে আমান উল্লাহ আমানের শুভেচ্ছা বিনিময় ২২ বছর পর গফরগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নির্বাচন অনুষ্ঠি ভৈরবে ইয়াবা ও হেরোইনসহ মামা ভাগনী আটক নান্দাইলে সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পাইকগাছায় সেতুর টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করে দল গঠন করেন: মুফ‌তি ফয়জুল ক‌রীম চলে গেলেন কুড়িগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু এইচএসসি পরীক্ষা শেষে অফিস কক্ষে ওএমআর শিট পূরণ করায় দুই শিক্ষক গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

ত্রিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদণ্ড

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • Update Time : মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫,
  • 21 Time View

ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে মো. মাহমুদুর রহমান (২৫) নামের এক যুবককে মাদক সেবনের দায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দরিল্যা এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদুর রহমান ত্রিশাল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে।

অভিযান পরিচালনা করেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান। সহযোগিতা করেন ত্রিশাল থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীও অভিযানে সহায়তা করেন।

সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মাহমুদুর রহমান দরিল্যা এলাকায় নিয়মিত মাদক সেবন করে। স্থানীয়রা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আমাদের অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করে এবং তার আচরণেও তা পরিলক্ষিত হয়। এসময় তার কাছ থেকে দু’টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যা ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।”

তবে অভিযুক্ত মাহমুদুরের পরিবারের দাবি, সে একজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও নিয়মিত নামাজ পড়েন। তাকে কখনো মাদকের সঙ্গে জড়িত দেখা যায়নি। হঠাৎ করে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

এদিকে, অভিযানে সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মাদক নির্মূলে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই আমরা সমাজকে মাদকমুক্ত করতে পারি।”

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ