ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ত্রিশালে ছয় বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে টয়লেটে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাতুল আমান লি-তাসিনিল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিশাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশু শিক্ষার্থীর পিতা হাসিবুল হোসেন ওরফে হিমেল তরফদার।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল পৌরসভার দরিরামপুর এলাকার বাসিন্দা হাসিবুল হোসেন ওরফে হিমেল তরফদারের ছয় বছর বয়সী কণ্যা শিশু তাকিয়া মাবরুকা তুবা ০৮নং ওয়ার্ডের শুকতারা স্কুল সংলগ্ন মাদ্রাসাতুল আমান লি-তাসসিনিল কুরআন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছে।
পড়াশোনা চলাকালীন প্রায় সময়ই শিক্ষক শহীদুল ইসলাম ও পরিচালক আমান উল্লাহ তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। প্রতিদিনের ন্যায় তুবা গত চার সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় গেলে তাকে মারপিট করে রশি দ্বারা বেধে টয়লেটের ভিতরে আটক করে রাখে। পরে সে বাড়িতে এসে পরিবারকে বিস্তারিত জানায়। সেই সময় হতে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য।
এ বিষয়ে তুবার পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে ত্রিশাল থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এখন শিশু তুবা ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
শিশু তুবার পিতা হিমেল তরফদার জানান, আমার ছোট শিশুর উপর নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যারা অসুস্থ করে ফেলেছে তাদের আইনের আওতায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে এই মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দোষীদের যথাউপযুক্ত বিচার করা হোক।
শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, তুবা পড়া কম পায়, তাই আমি তাকে শাসন করেছি। তবে বাথরুমে আটকে রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তবে মাদ্রাসার পরিচালক আমান উল্লাহকে এ বিষয় জানতে ফোন দিলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ত্রিশাল থানার এসআই নূরে আলম জানান, বাদীর শ্যালক ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানায় সে সহ চার/পাঁচজনকে মাদ্রাসায় আটক রেখেছে। আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে।
আমি অভিযোগের কথা বললে তখন তারা বলে তাদের এই বিষয়ে এখন কোন অভিযোগ নেই। বাদীপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চায় এবং বাদীকে অভিযোগ থাকলে তখন আইনের আশ্রয় নিতে বলি।
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন অভিযোগের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব।