৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| রাত ১০:২১| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
রামপুরা থানায় বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের সঙ্গে আমান উল্লাহ আমানের শুভেচ্ছা বিনিময় ২২ বছর পর গফরগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নির্বাচন অনুষ্ঠি ভৈরবে ইয়াবা ও হেরোইনসহ মামা ভাগনী আটক নান্দাইলে সাবেক এমপি খুররম খান চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পাইকগাছায় সেতুর টোল স্থায়ীভাবে অবমুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন জিয়াউর রহমান রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী করে দল গঠন করেন: মুফ‌তি ফয়জুল ক‌রীম চলে গেলেন কুড়িগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু এইচএসসি পরীক্ষা শেষে অফিস কক্ষে ওএমআর শিট পূরণ করায় দুই শিক্ষক গ্রেপ্তার গফরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

ত্রিশালে স্মার্ট কার্ড পাননি তিন সাংবাদিক, তাদের দাবি রহস্যজনক

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
  • Update Time : বুধবার, জুলাই ২, ২০২৫,
  • 26 Time View

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। উপজেলার প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হলেও তিনজন পেশাদার সাংবাদিক এখনও পর্যন্ত তাদের কাঙ্ক্ষিত কার্ড পাননি।

এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এটি নিছক ভুল, নাকি কোনো পূর্বনির্ধারিত অবহেলার বহিঃপ্রকাশ?

স্মার্ট কার্ড না পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন, দৈনিক আজকের পত্রিকার সাইফুল আলম তুহিন, ইত্তেফাকের ফারুক আহমেদ ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পর্যায়ের তিনটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তারা জানান, প্রায় এক বছর আগে নির্ধারিত কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

দশ আঙুলের ছাপ, রেটিনা স্ক্যানসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, একই এলাকার প্রায় সবাই ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়েছেন। এতে করে প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সাংবাদিক হওয়ার কারণেই কি তাদের সঙ্গে এমনটি করা হলো?

ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, “একসাথে তিনজন সাংবাদিকের স্মার্ট কার্ড না পাওয়া কোনোভাবেই কাকতালীয় হতে পারে না। বিভিন্ন সময় আমাদের সাংবাদিকতার কারণে কারও কারও গাত্রদাহ হতে পারে। এর প্রতিফলন হিসেবেই হয়তো এমনটা হচ্ছে।”

আরেকজন বলেন, “বারবার যোগাযোগ করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের তথ্য ঠিক থাকলেও কার্ড দেওয়া হয়নি কেন, তার কোনো সদুত্তর আমরা পাইনি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“এটি প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে হয়েছে। যারা এখনো পাননি, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।”

তবে সাংবাদিকদের দাবি, বারবার ‘ত্রুটির’ অজুহাত দিয়ে দীর্ঘসূত্রতা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের চিহ্নিত ও সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ