ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রেমের রাজি না হওয়াতে ধর্ষণ ও নির্যাতনে শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের সিংরইল ইউনিয়নের নারায়নপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসাইন কে দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী মৃত্যু হয়। এদিকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি (সিআর) মামলা হলেও মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়ায় আসামী ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।
দুই শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে এক ঘন্টা নান্দাইল-হোসেনপুর সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসাইন গ্রেফাতার ও শাস্তির দাবিতে ধর্ষক হোসাইনের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেন। সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনের ফলে সড়কে যানজট তৈরি হয়।
এসময় নির্যাতনের শিকার মেয়ের মা হাদিসা আক্তার আর্তনাদ করে বলেন আমার কলিজাটা ছিঁড়ে দেখাইতে পারতেছি না। অনেক ইচ্ছা ছিল মেয়েটাকে পড়াশোনা করাইয়া ডাক্তার বানাইলাম। এহন আমার পাপিয়া কেমনে আমারে ছেঁড়ে বিদায় নিল। যেভাবে আমার মেয়েরে হত্যা করছে এইভাবে আমি হোসেনের ফাঁসি চাই।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১লা জুন মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের একটি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে দুই মাস ধর্ষণ ও নির্যাতন করে মেয়ের একটি চোঁখ নষ্ট করে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশে ফেলে যায়।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ছাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। চোঁখের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে।
১৫ দিন চিকিৎসা শেষে ছাত্রীর ডান চোঁখ বাঁচাতে তার চোঁখের কর্ণিয়া তুলে ফেলে দেয়। অর্থের অভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় গতকাল সোমবার মারা যায় মেয়েটি।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন- আদালতে সিআর মামলা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আসলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।