নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর বেলাবতে হারুন-অর-রশিদ (৪৫) নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক হত্যা মামলায় ৫ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
হত্যা মামলার ১০ বছর পর আজ রোববার বিকালে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক শামীমা পারভীন এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এলাকার হাবিবুর রহমান হাবিব (৫০), একই এলাকার ছেলাল ওরফে সালাউদ্দিন (৪৩), রাসেল মিয়া (২২) ও ছেলাম মিয়া (২৩) এবং নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকার জুয়েল মিয়া (২০)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম.এ.এন অলিউল্লাহ জানান, বেলাব উপজেলার ভাটেরচর গ্রামের সিএনজিঅটোরিকশা চালক হারুন অর রশিদ একই উপজেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ড হতে বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করতেন।
২০১৩ সালের ২৮ জুন রাতে ৫ জন যাত্রীসহ সিএনজি নিয়ে বের হওয়ার পর রাতে বাড়ি ফিরেননি। পরদিন ২৯ জুন সকালে ঢাকা-সিলেট বেলাব এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে চুনাইখালী সেতুর পাশের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহত চালক হারুন অর রশিদের ছেলে আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে বেলাব থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশী তদন্তে যাত্রী সেজে চালক হত্যা ও সিএনজি ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটন হয়। মামলায় আদালতে ১৩ জনের দেয়া সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ৫ জন আসামী দোষী প্রমাণিত হয়।
আসামীরা চালক হারুনকে গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাই করে বলে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আদালত প্রত্যেক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
রায় প্রদানের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামীদের মধ্যে হাবিবুর রহমান হাবিব (৫০), ছেলাল ওরফে সালাউদ্দিন (৪৩) ও জুয়েল মিয়া (২০) উপস্থিত ছিলেন। বাকী দুই আসামী এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম.এ.এন অলিউল্লাহ।