২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি| বিকাল ৪:১৯| হেমন্তকাল|
শিরোনাম:
প্রকাশিত সংবাদ ও মানববন্ধের প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন ত্রিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি প্রেসক্লাব পাইকগাছার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ নুরুল ইসলাম বুলবুলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন পাইকগাছায় প্রতিবন্ধী কিশোরকে হুইলচেয়ার দিলেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম পাইকগাছায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পোল্ট্রি ফার্ম মালিককে জরিমানা নান্দাইলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি নান্দাইলে ভূমি অধিগ্রহণের জায়গায় আওয়ামীলীগ নেতার মার্কেট নির্মাণ বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক হতে ওষুধ ও সিসা জব্দ

নরসিংদীতে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, জুন ৬, ২০২৩,
  • 373 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এ আদেশ প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। সে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর পূর্বে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা নিহত মোফাজ্জল হোসেনের সাথে অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম আধুরী ফ্যাক্টরিতে চকিরি করতো। চাকুরির বিষয়টা ঝুনুর স্বামী মোফাজ্জল পছন্দ করতো না। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে ২০২২ সালের ২১ জুলাই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।

ওই সময় ঝুনু বেগম শাবল দিয়ে স্বামী মোফাজ্জলের মাথায় আঘাত করে।

এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের ভাই আলী হোসেন বাদি হয়ে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ঝুনু বেগম হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে  মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. খন্দকার হালিম ও আসামিপক্ষের আইজীবী ছিলেন আরিফুল ইসলাম।

নিহত মোফাজ্জল হোসেনের ভাই ও মামলার বাদী আলী হোসেন বলেন, আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ঝুনু বেগমের ফাঁসি হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী এই ধরনের অপরাধ ও খুন খারাবি বন্ধে ঝুনু বেগমের ফাঁসি দেয়া হোক। যাতে করে আর কেউ যাতে খুনের শিকার না হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এড. খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ১০ মাসে এই হত্যার বিচার কার্য শেষ হয়েছে। ১৪ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অভিযুক্ত ঝুনু বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ