নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদী জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যকরী সভাপতির বিরুদ্ধে সংগঠনের ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটায় নরসিংদীর শাপলা চত্বরের হাসান টাওয়ারের নিচ তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। এখানে প্রায় ৩ হাজার সদস্য আছে। সংগঠনে ভর্তি ফি জন প্রতি ২ হাজার টাকা করে নেওয়া পর ষাট লক্ষ টাকা এবং প্রতি ৩ বছরে ১ হাজার করে সদস্য নবায়ন ফি বাবদ ৪ বছরে এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা । বিগত ২০১৮ সালে মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন থেকে শ্রমিক কল্যানের জন্য আঃ কাদির মোল্লা সাহেব অনুদান দিয়েছেন বিশ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে দুই কোটি টাকা।
এসকল টাকা থেকে যে লভ্যাংশ আসে তা সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। কিন্তু বিগত বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের লভ্যাংশের টাকা না দেওয়ায় আমি সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে এর হিসাব চাই। কিন্তু তারা আমাকে এর কোনরকম হিসাব না দিয়ে সংগঠনের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা শুরু করে।
আমি তাদের এ কাজে বাঁধা দিলে তারা দলবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র করে আমাকে সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করে। যা সংগঠনে পরিপন্থী। তাছাড়া বিগত ৫ বছরে সংগঠনের একাধিক সদস্য মৃত্যুবরন করলেও তাদের অসহযোগিতার কারণে তাদের মৃত্যুকালীন ক্ষতি পূরনের টাকা দিতে পারছিনা । তাদের কর্মকান্ডে আমি চিন্তিত তারা যে কোন সময় সংগঠনের টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বড় ক্ষতি করতে পারে।
তাই শ্রমিকদের স্বার্থে গত ২৬ জুলাই জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা (৫০), কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুলতান (৪৫), কার্যকরী সভাপতি খোরশেদ আলম তাবিজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন (৪৫) সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
উল্লেখিত ঘটনায় সংগঠনের সদস্যদের তিল তিল করে জমানো অর্থ যেন কোন অসাধু চক্র গ্রাস করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে নরসিংদী পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
এই সব বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা বলেন, এইসব কথা মোবাইলে বলা যাবে না, সরাসরি আসুন কথা হবে।