ময়মনসিংহের নান্দাইলের যুবক মো. লাল মিয়া (২৮) হত্যা মামলার আসামীদের হুমকি ও বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভোক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (১২আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মো. লাল মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের বিচারের দাবি করেন।
জানা গেছে- গত ১৯ জুন সকালে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মো. লাল মিয়াকে ধানের বীজতলা আইল তৈরির সময় চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান ও হযরত আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এঘটনায় ২০ জুন ১৩ জনকে আসামীকে করে নিহত লাল মিয়ার ছোট ভাই অসীম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে লাল মিয়া হত্যা মামলার ৯ আসামী গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন পান। জামিন পেয়ে আসামীরা তাদের দু:সর্ম্পকের আত্নীয় মো. শহীদুল্লাহ্কে দিয়ে ১ আগষ্ট লাল মিয়া হত্যা মামলার বাদীসহ ১১ জনের নামে বাড়িঘর লুটপাটের মামলা দায়ের করেন।
সোমবার দুপুরে মানববন্ধনে হত্যা মামলার বাদী অসীম অভিযোগ করেন, আসামীরা ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়ে বাড়ি এসে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে। এতে রাজি না হওয়াতে আমি সহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে লুটপাটের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। গত ৩ আগষ্ট সকালে আসামীরা দারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ির পাশে আমাদের হাল চাষের জমি দখলের চেষ্ঠা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা আমাদের কে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
নিহত লাল মিয়ার পিতা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করে আসামীরা ২৭ দিন পরে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা দিয়েছে। অথচ তাদের বাড়িঘরে কোন হামলা ও লুট হয়নি ।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- নিহত লাল মিয়ার স্ত্রী লিজা আক্তার, শিশু ছেলে মোস্তাকিম মিয়া, পিতা গিয়াস উদ্দিন, মা কল্পনা আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
হত্যা ও লুটপাট দুটি মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, দুুটি মামলায় আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িঘর স্থানীয় ইউপি সদস্যের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে শুনি লুটপাট হয়েছে। লুটপাটের যে মামলাটি হয়েছে সেটি তদন্ত চলছে।