ময়মনসিংহের নান্দাইলে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে। বিশেষ করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কানুরামপুর থেকে জামতলা পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা হাট-বাজারেই সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে উঠেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবঃ)আব্দুস সালাম এমপির নির্দেশে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল।
গত তিন মাসে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের এমন কার্যক্রমকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। দখলমুক্ত জায়গায় যাতে নতুন করে কেউ দোকানপাট নির্মাণ না করতে পারে সে ব্যাপারেও প্রশাসনের তদারকি জোর দাবি জানান। এদিকে গত ফেব্রুয়ারি,মার্চ ও এপ্রিল মাসে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখলমুক্ত করার পরেও কিছু ব্যক্তি আবারও দখলের চেষ্ঠা করে।
গত মঙ্গলবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার শিউলী ও চন্ডিপাশা ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের সভাপতি আজিজুল হক ভূঁইয়া কানুরামপুর বাজার ও চৌরাস্তা বাজারে উচ্ছেদ করা জায়গায় আবারও দখলের অভিযোগ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সিন্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও উচ্ছেদ করে জায়গা খালি করেন ৷
জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পালের তৎপরতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়েজ উদ্দিন, নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ এর সার্বিক সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে উপজেলা সদরে মেইন রাস্তার পাশে ৭৮ শতক (মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা), নান্দাইল চৌরাস্তায় ১.৬০ একর (মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা), কানুরামপুর মোড়ে ১ একরসহ (মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা) সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এছাড়াও পর্যাক্রমে নান্দাইলের সকল অবৈধভাবে গড়ে উঠে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নান্দাইল সদর, কানুরামপুর, নান্দাইল চৌরাস্তা দখলমুক্ত করা হয়েছে। দখলমুক্ত করে সদরে অটো স্ট্যান্ডের জন্য তৈরি করা হয়েছে। নান্দাইল চৌরাস্তায় ৪টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণে জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।