নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
নান্দাইলে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় তিনটি নিয়োগ বাণিজ্যের ভাগ-বাটোয়ারা দ্বন্দ্বের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। গত ৩দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তা ভাইরাল হয়েছে।
এতে মাদ্রাসার সুপার তাজুল ইসলাম, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহ্ আলমের মধ্যে নিয়োগ বাণিজ্যের ১৩ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথোপকথন রয়েছে। নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- ধূরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও একজন আয়া পদে মোট তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের পর তিনটি পদে তড়িঘড়ি করে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে।তিনটি পদে নিয়োগে মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে। অবৈধভাবে সুপার তার আপন ভাগ্নীকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়েছে।
এদিকে ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসায় তিনটি নিয়োগ বাণিজ্যের ভাগ-বাটোয়ারা দ্বন্দ্বের কথোপকথনে জানা যায়, মাদ্রসার সভাপতি আব্দুল কাদির নিয়োগ সম্পন্ন করার পর নিয়োগ বানিজ্যের ৩ লাখ টাকা ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যের দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে সদস্যরা রাজী হয়নি এক পর্যায়ে বিদ্যোৎসাহী সদস্য শাহ্ আলম মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের সাথে বাগতিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এখানে শাহ্ আলমকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সভাপতি আব্দুল কাদির জানিয়েছেন। ১৩ লাখ গ্রহণ করেছে বলে কথোপকথনে স্বীকার করেন মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির।
ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য শাহ্ আলম জানান, তিনি কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য। অডিও রেকর্ডে যা আছে তা সবই সত্য। ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর ছাড়াই সুপার ও সভাপতি মিলে নিয়োগ দিয়ে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছে।
ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা তাজুল ইসলাম কে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
ধুরুয়া ডি.এস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, যে অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে তা তো শুনেছেন। তিনটি পদে আমি সুপার ও ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন মিলে নিয়োগ দিয়েছি। তবে টাকা পয়সা নেইনি। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিচ্ছি।