নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পল্লীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের দায়ে দুই সন্তানের জনকের নামে অপহরণ মামলা হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলাটি দায়ের করেন অপহৃত ছাত্রীর দাদা রফিকুল ইসলাম। ওই মামলায় মোট তিনজনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্ডীপাশা ইউপির ধূরুয়া (মনারটেক) গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র জহিরুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। জহিরুলের একমাত্র মেয়ে উপজেলা সদরের একটি বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশি ওসমান গনির পুত্র দুই সন্তানের জনক তানভীর আহমেদ (৩০)।
এ নিয়ে তাকে বার বার নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন রফিকুল। কিন্তু তানভীর আরও ক্ষেপে গিয়ে মেয়েটিকে জোর পুর্বক অপহরণ করবে বলে হুমকি-ধমকি দিত।
গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে তানভীর তার দুই সহযোগি প্রতিবেশি সুরুজ আলী ও মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গেলে দাদা রফিকুল ইসলাম জানান, তানভীর নারী লোভী লম্পট চরিত্রের মানুষ। নানাভাবে ফুঁসলিয়ে তার নাতনীকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
সে ইতিমধ্যে আরও ৩-৪টি বিবাহ করেছে। মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তানভীরের বাড়িতে গিয়ে তাকেও পাওয়া যায়নি। পিতা ওসমান গনি জানান, তাঁর ছেলে নির্দোষ। মেয়েটি স্ব-ইচ্ছায় তার ছেলের সাথে পালিয়েছে।
চাচাতো ভাই আল আমিন জানান,মেয়েটির বাড়ির পাশে বাজারে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। তানভীর মাঝে মধ্যে ওই দোকানে যেত। সেখান থেকেই মেয়েটির সাথে তানভীরের মন দেওয়া নেওয়া শুরু হয়।
এরপরও মেয়েটি মোবাইলে তানভীরকে বিভিন্ন সময় ডেকে নিয়ে যেত। গত ১১ এপ্রিল মেয়েটির পিতাই তানভীরের হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়ে এখন মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুল বারি তালুকদার খসরু জানান, তানভিরের স্বভাব চরিত্র খুব একটা ভাল নয়, সে ইতিমধ্যে বিয়ের নামে বেশ কয়েকটি মেয়ের সর্বনাশ করেছে।
জানতে চাইলে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। মেয়েটিকে উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।