
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পৃথক ঘটনায় একদিনে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (৩১মে) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বজ্রপাতে, পানিতে ডুবে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার মুশুল্লি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিম (৫০) গত দুই দিন আগে নিখোঁজ হন।
শনিবার সকালে বাড়ির পাশে ফিসারীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আব্দুর রহিম ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এদিকে উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আম কুড়াতে গিয়ে আসিফ মিয়া (৩) নামের এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের বীর বেতাগৈর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আম কুড়াতে গিয়ে পুকুরে পড়ে তার মৃত্যু হয়। নিহত আসিফ মিয়া ওই গ্রামের আনিছুর রহমানের পুত্র।
একই সময়ে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নে বনগ্রাম এলাকায় ফিরোজা বেগম (৬০) নামের এক নারী পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ফিরোজা বেগম ওই গ্রামের মৃত হযরত আলীর স্ত্রী।
অপর দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের হযরত আলীর পুত্র সাইদুল ইসলাম (১২) বজ্রপাতে নিহত হন।
শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বাড়ির পাশে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধূলা করছিল এমন সময় বজ্রপাতে সাইদুল মাটিতে লুকিয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্মব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বিদ্যুতায়িত হয়ে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিতে আসা মারুফা বেগম (৩০) নামের এক নারীকে মৃত ঘোষণা করে জরুরি বিভাগ। শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে বিদ্যুতায়িত হলে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত মারুফা বেগম পাশ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যকটি ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অন্য চারটি অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।