ময়মনসিংহের নান্দাইলের চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গণি ৩১ বছর পূর্বে ৭০৬০ দাগের ৪শতাংশ বিক্রিত জমি বর্তমানে আব্দুল গণির ছেলে ছাত্তার মিয়া জোরপূর্বক দখলের চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভোক্তভোগী মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নান্দাইল মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরশ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গণি ৮৩৯১নং দলিল মুলে ১০ নভেম্বর ১৯৯৩ সালে ৪ শতাংশ জমি মৃত নেওয়ার আলীর ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনের নামে সাফ কাওলা লিখে দেন। জমির দলিলে হালদাগের কলামে ৭০৬০ দাগের পরিবর্তে ভূলক্রমে ৭০০১ লিপিবদ্ধ হয়।
বর্তমানে দাগ সংশোধনী আইনে গিয়াস উদ্দিন ময়মনসিংহের নান্দাইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা করেন, যা চলমান রয়েছে।
এদিকে মামলা চলমান থাকা সত্বেও মৃত গণির ছেলে আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী আসমা খাতুন বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকিসহ গিয়াস উদ্দিনের ক্রয়কৃত বসত ভিটায় হাঁস, মুরগি, গরু ছাগলের বিষ্টা ফেলে অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে গিয়াস উদ্দিন ছেলে মো. মামুন মিয়া।
গত রবিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিনের বসতভিটায় আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আসমা আক্তার বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখেছে। ফলে সেখানে ময়লার ভাগারে পরিনত হয়ে আশে পাশে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী দেলোয়ারা বলেন, আমরা ৩১ বছর পূর্বে গণি মিয়ার কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেছি। সে থেকেই এখানে বসবাস করে আসছি। ইদানিংকালে গণি মিয়ার পুত্র ছাত্তার তার স্ত্রী আসমা খাতুন আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে বাড়ির উঠানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখেছে। আমরা খুবই অসহায় আতঙ্কে দিন পার করছি। বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে মারার হুমকিও দিয়েছে।
এদিকে জানতে চাইলে আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, হ্যাঁ আমি ময়লা আবর্জনা ফেলেছি। তারা কেন আদালতে মামলা করলো সেটি আমি মানি না।
চর বেতাগৈর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনা আমি শুনেছি। ইতিমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি।