নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে শেরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সামছুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই মাস আগে শেরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় এনটিআরসি (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন) থেকে চারজন শিক্ষকের সুপারিশ আসে। আর এ অবস্থায় মাদ্রাসার মোট শিক্ষকের সঙ্গে চারজন সংযুক্ত হয়ে এমপিও তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সামছুল হক ফকির এ মাসের ২রা নভেম্বর পরিচালনা কমিটির বিশেষ সভা হয়।
সভায় কমিটি সর্বসম্মতির সিদ্ধান্তে রেজুলেশনের মাধ্যমে এনটিআরসির সুপারিশের চারজন শিক্ষকের সঙ্গে অধ্যক্ষের শ্যালক ও শ্বশুর বাড়ির আত্নীয় অতিরিক্ত (এমপিওভুক্ত নয়) আরো দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করাসহ হাজিরা খাতায় নাম উঠিয়ে ফেলেন।
শেরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ২৭ জন। এদিকে এনটিআরসিতে নতুন চার শিক্ষক যুক্ত হওয়ায় অক্টোবর মাসে মাসিক পেমেন্ট অর্ডার তালিকায় রয়েছে ৩১ জন। তার মধ্যে জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ আরও দুই জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে যা অনলাইন তালিকায় নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জালিয়াতি করে এমন কাজ করছে। আমরা তো কিছু বলতেই পারি না। জালিয়াতি করে পরিচালনা কমিটিতে স্বাক্ষর নিয়েছে৷
জানতে চাইলে শেরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সামছুল হক ফকির এনটিআরসির সুপারিশের চার জনের মধ্যে নতুন আরও দুইজনের অন্তর্ভুক্ত করে রেজুলেশনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এটি করে রাখছি। যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আবার হয়তো সুপারিশ করবে তখন দেখা যাবে।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এনটিআরসির বাইরে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি আমি জানি না। রেজুলেশনে তো স্বাক্ষর দিয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জালিয়াতি করে সবই সম্ভব। বিষয়টি আমি দেখছি।’
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, ‘এনটিআরসি’র সুপারিশের বাইরে অতিরিক্ত দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা অসম্ভব। এত বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটে থাকলে অধ্যক্ষকে তলব করা হবে।’