নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
মিলন হুসাইন
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অধিকাংশ শিক্ষার্থী মতামত দিয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি ফেইসবুক গ্রুপে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হলে দেখা যাই অধিকাংশ শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার বিপক্ষে মতামত দেয়। পাশাপাশি নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া পক্ষে । নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়ার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতকরা ৯১ ভাগ শিক্ষার্থী এবং বাকি ৯ ভাগ শিক্ষার্থী বিপক্ষে মতামত দেন।
নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য উপাচার্য ও ভর্তি কমিটিকে আহ্বান করেছে নোবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা নোবিপ্রবি গুচ্ছে থাকার প্রভাবে ভালো ও মন্দ দুইটি দিকই উল্লেখ করেন।
নোবিপ্রবি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া বলেন, গুচ্ছের জন্য নোবিপ্রবি ধীরে ধীরে আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনত হচ্ছে। অথচ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে সমগ্র বিশ্বের শিক্ষার্থীদের একটি মিলনমেলা। তাই আঞ্চলিকতা দূর করতে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডাইভার্সিটি আনতে এবং অধিক কোয়ালিটিফুল শিক্ষার্থী পেতে সন্দেহাতীত ভাবে গুচ্ছ পরীক্ষা থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।
নোবিপ্রবি শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের মোহাম্মদ সোহান চৌধুরী তার মতামতে জানান, গুচ্ছের জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের বিভাগের শিক্ষার্থীরা নোবিপ্রবি বিমুখ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে আমার খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় না বললেই চলে যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ডাইভার্সিটি নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের খরচ ও ভোগান্তি কিছুটা কমিয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই প্রক্রিয়া বেশ সুফল বয়ে নিয়ে এসেছে। তবে নোবিপ্রবি গুচ্ছ থেকে বের না হয়ে যদি সমস্ত প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে নতুন একটা গুচ্ছ পদ্ধতি করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করে সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধার হয়। অথবা খরচ ও ভোগান্তি কমিয়ে নোবিপ্রবি নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নিতে পারে।
নোবিপ্রবি গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয় জানতে চাইলে নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, আমরা আগামী রবিবার গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসবো। মিটিংয়ের পরে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো