নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার কর্মীর আ: জলিল (৬৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) মৃত্যু হয়। তিনি নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাদারীনগর গ্রামের আওয়ামিলীগের সভাপতি ছিলেন। ওই গ্রামের মৃত কুমেদ আলী ফকিরের পুত্র।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আ: জলিলের পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি নিহত আ: জলিলের পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মো. আবুল কালাম,মো. শামীম ফকির,ডা: তাজুল ইসলাম, রুকন উদ্দিনসহ ১৮ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা ৫ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন বিকাল ৩ টায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়ন ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এমপির কর্মী সমর্থকের উপর নৌকা বঞ্চিত স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে নৌকার কর্মী আ: জলিল মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ১২ জানুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকালে মৃত্যু হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন- ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী আবুল কালাম, সেলিম রানা ও রুকন উদ্দিন সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। ১২ জন আসামী কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন।