সোহাগ ইসলাম, নীলফামারী:
জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আয়োজনে এবং জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল ২০২৪) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নীলফামারী জেলা পর্যায়ে জানো প্রকল্পের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পোরসিয়া রহমান, সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক, জানো প্রকল্প, ইএসডিও, নীলফামারীর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পঙ্কজ ঘোষ, জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি, নীলফামারী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এ.বি.এম আবু হানিফ, বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য, রংপুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, ডাঃ মোঃ আকতার ইমাম, সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, ডাঃ ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার, পরিচালক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচী কেয়ার বাংলাদেশ।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ও সদস্য সচিব জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি নীরফামারী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনয়নের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, উপজেলা সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, এস এমসির সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং কেয়ার বাংলাদেশ ও ইএসডিও’র প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভার শুরুতেই সভাপতি মহোদয় জানো প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে চলমান কর্মসূচী ও প্রকল্প শেষে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম গুলো যাতে মাঠ পর্যায়ে চলমান থাকা এর করনীয় বিষয়গুলোর প্রতি সকলের অংশগ্রহন কামনা করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ এ.বি.এম আবু হানিফ বলেন, জানো প্রকল্প সরাসরি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে মিশে কাজ করেছে যা আগামীতে তৃতীয় পুষ্টি পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
জেলা ও উপজেলা পুষ্টি কমিটির কাজ হবে, ভবিষ্যতে এই কাজ গুলো চলমান রাখা। তিনি জানো প্রকল্পের মেয়াদ আরো বাড়ানোর জন্য কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক-স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচী, ডা: ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকারকে অনুরোধ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, জানো প্রকল্পটি মাল্টি সেক্টরাল এপ্রোচ কাজ করেছে যা খুবই ফলপ্রসু। এছাড়া জানো সরাসরি বিভিন্ন দপ্তরের সাথে কাজ করেছে এবং দপ্তরগুলোকে একত্রিত করে করেছে বা বেশ কার্যকর ভূমিকা বাখছে।
জেলা পুষ্টি কমিটির নেতৃত্বে নীলফামারী জেলায় জানো প্রকল্পের পুষ্টি সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এবং এই কার্যক্রমের প্রভাব সমূহ সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন গোলাম রাব্বানী, ম্যানেজার মাল্টি সেক্টরাল গর্ভন্যান্স, জানো প্রকল্প কেয়ার বাংলাদেশ।
এছাড়াও ডোমার, জলঢাকা, সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায় হতে আগত কিশোরী, সিএসজি সদস্য, নারী উদ্যোক্তা, প্রধান শিক্ষক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী, উপজেলা পুষ্টি কমিটির সদস্যগণ তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ও প্রকল্প শেষে করনীয় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
জানো প্রকল্পটি কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর একটি কনসর্টিয়াম প্রকল্প। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে রয়েছে অস্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন।
প্রকল্পটি রংপুর ও নীলফামারী জেলার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষে কাজ করেছে যা সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা-২০১৬-২৫ অর্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।