আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন, জাল নোটের ব্যবহার রোধ এবং পশুর হাটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দামপাড়াস্থ সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) জনাব মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম, পিপিএম; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশসহ, পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি) সিএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, চসিক, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ওয়াসা, পিডিবি, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন হাটের ইজারাদার ও জনপ্রিতিনিধিগণ।
সভাপতির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে নগরীর সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি রয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ, সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা, ওয়াচ টাওয়ার, মেডিকেল ক্যাম্প, মানি এস্কর্ট ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা।
এছাড়াও নেওয়া হয়েছে পশুর হাট কেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা। পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোনো হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে, অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে যাতে কেউ পশুর হাট না বসাতে পারে, কোথাও যেন কেউ অবৈধ খুঁটির ব্যবসা না করতে পারে, পশুবাহী খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী পরিবহন না করে ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সংক্রান্তেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চামড়া পাচার রোধকল্পে সংগৃহিত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, কোনো এলাকায় যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোরবানির চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় এবং পরিবহনে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে তা নিশ্চিত করা।এছাড়াও নগরবাসীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রতিটি ঈদ জামাতকেন্দ্রিক পৃথক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে আবাসিক এলাকাসমূহের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।