ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দ্বিগুণ উৎপাদনের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক মৎস্য চাষের সেই পুকুরে ৬২ হাজার পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিকালে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিহারী গ্রামে প্রস্তুতকৃত সেই পুকুরে এ পোনা মাছ গুলো অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ, কানিহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদ উল্লাহ মন্ডল, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জেলায় সংযুক্ত মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি সাহা, ত্রিশাল উপজেলার ফ্যাসিলিটেটর শাহানাজ পারভীন প্রমূখ।
দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদের সার্বিক পরিকল্পনায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ।
পরীক্ষামূলক ভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমপরিমাণ জায়গায় প্রায় দ্বিগুণ মাছ উৎপাদন হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
এর আগে গত ২৩ মার্চ (শনিবার) উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের দক্ষিণ কানিহারী গ্রামের ১ একর জায়গা নিয়ে মৎস্য চাষের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) যুগ্মসচিব মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী।
মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রনি সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ত্রিশালে মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে বর্তমানে সর্বোচ্চ উৎপাদন ৪৪৫ কেজি। আমাদের টার্গেট হলো এটাকে এক হাজার কেজিতে উন্নিত করা এবং শ্রমিকের ব্যবহার কমিয়ে আনা। আজ গড়ে ৮০ গ্রাম ওজনের ৬২ হাজার পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
ছয় মাস পর যার প্রত্যাশিত ওজন হবে ১ কেজি ২০০ গ্রাম। যা গতানুগতিক মাছ চাষের চাইতে অনেক বেশি। এ পদ্ধতিতে প্রতি শতাংশে পুকুরে ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি পোনা ছাড়া হয়েছে।’
ত্রিশাল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ত্রিশাল উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ উপজেলা থেকেই সিংহভাগ মাছ উৎপাদন হয়ে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে আমিষের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা পালন করছে। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে তথা ত্রিশালকে সারাদেশে অধিকভাবে পরিচিত করতে পরীক্ষামূলক ভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষের মাধ্যমে দ্বিগুণ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে সবকিছু ম্যানুয়ালি করা হলেও ভবিষ্যতে এটাকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করবো। এটা ফলপ্রসূ হলে সারাদেশের জন্য এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।’