পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নানা ধরনের অভিযোগ এনে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করে সামাজিক মান-মর্যাদা ক্ষুন্নসহ নানাবিধ জটিলতার কারণে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন।
রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছার কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্যে শেখ জামাল হোসেন বলেন, গত ০৪ নভেম্বর সকাল ১১ টায় পাইকগাছা থানাধীন দরগামহল নিবাসী শানিয়ার হোসেনের ছেলে শেখ মোস্তফা জামান আমার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, জনৈক হালিমা খাতুনের কাছ থেকে আমার সম্মতিতে সে জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়াও মোস্তফা জামান উল্লেখ করেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়ানি ৫০/২০২৪ তারিখ মামলার নোটিশ প্রাপ্তির পর আমার কাছে জানতে চাইলে আমি খুবি রাগান্বিত হয়ে তাকে বলেছি তুমি জানো আমি কে? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধার দাপট দেখিয়ে গালিগালাজ ও থানায় নিয়ে ঝুলিয়ে রাখার হুমকিসহ পিস্তল বের করে শেখ মোস্তফা জামানকে গুলি করার হুমকি দেই।
এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাহাকে উদ্ধার করেছে মর্মে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন শেখ মোস্তফা জামান। তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও আমার জন্য মানহানিকর বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন।
মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন বলেন, রামনাথপূর মৌজায় বিআরএস দাগ নং-৮৭ ও ৯০ দাগে সর্বমোট ২.৪৪ একর জমির মধ্যে হতে আমি দশমিক ৯১৫ একর জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে আছি।
উক্ত দাগ দুটি অন্তর্বর্তী বিআরএস ৩৮৬ খতিয়ানের মালিকের নিকট হইতে দশমিক ৪৭৮ একর জমি মোস্তফা জামান গোপনে ক্রয় করেন।
১০ দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকাকালীন সময়ে আমার ছেলে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে তাদের প্রতি অনুনয় বিনয় প্রকাশ করে আমাকে মুক্ত করেন।
এছাড়াও গত ৩১ অক্টোবর স্থানীয় মাহমুদকাটি মজিদ মোড়লের ইট ভাটায় আমি ইট কিনতে গেলে শেখ মোস্তফা জামান জানতে পেরে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে সংবদ্ধভাবে আমাকে মান অপমানসহ হেনস্তা করে। এসময়ে ইট ভাটার লোকজন এসে আমাকে মুক্ত করে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
পাশাপাশি মোস্তফা জামান মুক্তিযোদ্ধার দাপট দেখিয়ে থানায় ঝুলিয়ে রাখার হুমকি সহ অস্ত্র দিয়ে গুলি করার যে বিষয়গুলো মিথ্যা ও বানোয়াট উপস্থাপন করেছেন তাহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন উল্লেখিত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করার আবেদন জানিয়েছেন।