জীবিত থাকা অবস্থায় খলিলুর রহমান তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জিন্নাহ্ মিয়া আড়াই লাখ টাকা ধার দেয়। সে টাকা দিতে তালবাহানা করে জিন্নাহ্ মিয়া । পরবর্তীতে সালিশ দরবারে জিন্নাহ্ মিয়া নিজের বাড়ি ভিটে বিক্রি করে স্বাক্ষীর উপস্থিতে সালিশ দরবারি মোন্তাজ মিয়ার কাছে আড়াই লাখ টাকা জমা রাখে।
এদিকে অসুস্থ হয়ে খলিলুর রহমান মারা যাওয়াতে টাকা নিতে পারেনি তার পরিবার। পাওনা টাকা না পেয়ে কষ্টে দিনাপাত করছে মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোছা. নাসরিন সুলতানা ফাতেমা।
এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম গড়া গ্রামে। এদিকে জিন্নাহ্ মিয়ার টাকা পাওনাদার কে সালিশ দরবারি মোন্তাজ মিয়া ও মন্জু মিয়া টাকা বুঝিয়ে না দেওয়াতে চেকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন জিন্নাহ্ মিয়া।
পাওনা টাকা না পেয়ে মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী মোছা. নাসরিন আক্তার ফাতেমা নান্দাইল মডেল থানায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গাংগাইল ইউনিয়নের বনুরা গ্রামের মৃত কাজীর বাপের পুত্র মন্জু মিয়া (৪৫), সুরাশ্রম গড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র মো. মোন্তাজ মিয়া (৫৫)।
নান্দাইল মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর থানার গাংগাইল এলাকার খলিলুর রহমান তারই বন্ধু নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়ন সুরাশ্রম গড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে জিন্নাহ্ মিয়াকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার দেয়৷ এটাকা দেওয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়দের সালিশ দরবারের মাধ্যমে জিন্নাহ্ মিয়ার তার বসত বাড়ি বিক্রি করে।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি সেলি আক্তার, কাশেম মিয়া ও সিরাজ উদ্দিনের উপস্থিতিতে মোন্তাজ মিয়ার নিকট ২লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখে। কিন্তু মোস্তাজ মিয়া সে টাকা দিতে সময়ক্ষেপন করছে। এদিকে ২০২৪ সালের ৮ মার্চ নাসরিন আক্তার ফাতেমা মোন্তাজ মিয়ার নিকট টাকা চাইলে গেলে খুন জখমের ভয় ভীতি হুমকি প্রর্দশন করে।
জানতে চাইলে মোন্তাজ মিয়া জিন্নাহ মিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে সতত্যা স্বীকার করেন। তবে টাকা কেন দিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা নিয়েছিলাম আমিও কিছু টাকা পাইতাম। কিছু টাকা মন্জু মিয়া নিছে আর কিছু সালিশ দরবার যারা করছে তারা নিছে আর কিছু টাকা বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে রয়েছে।
নাসরিন আক্তার ফাতেমা বলেন, আমার পাওনা টাকা আমি পাচ্ছি না। তৃতীয় পক্ষের দরবারি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা চাইলে গেলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমি আমার টাকা ফেরত চাই।
নাসরিন আক্তার ফাতেমার অভিযোগের পরে নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম তদন্ত করছেন। ইতিমধ্যে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে এসেছেন। জানতে চাইলে মুঠোফোনে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।