আছাদুজ্জামান খন্দকার, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৭,৮,ও ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বিক্ষোভ মিছিলটি পৌরসভার চালিয়াগোপ এলাকা থেকে শুরু হয়ে পাকুন্দিয়া পৌরসদর বাজরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এসে অংশ নেন। এসময় লোডশেডিং এর প্রতিবাদ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী, পল্লী বিদ্যুত সমিতির পাকুন্দিয়া অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম শহীদুল্লাহ সমাবেশে উপস্থিত হন। এসময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ জনতা শান্ত হয়।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া পৌর এলাকা ও নয়টি ইউনিয়নে ৭২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এজন্য দৈনিক কমপক্ষে ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র সাত থেকে আট মেগাওয়াট। এজন্য লোডশেডিং হচ্ছে।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কুড়তলা গ্রামের বাসিন্দা মো. হৃদয় মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। এতে করে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও ফসলি জমিতে যথাসময়ে সেচের পানি দিতে না পারায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আমরা খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি।
পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) একে এম শহীদুল্লাহ বলেন, আপাতত লোডশেডিং কমানো সম্ভব হচ্ছে না। আমরা পৌরসভায় আরেকটি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছি। সাব-স্টেশনটি নির্মাণের পর এই লোডশেডিং আর থাকবে না।