পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন করতোয়া এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ ও স্থানীয় সাধারণ জনতা। এ সময় বগুড়া শান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেন ও দিনাজপুরের বিরল থেকে আসা বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখে ছাত্র ও স্থানীয়রা।
জানা গেছে, আন্তঃনগর ট্রেন করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন বগুড়া শান্তাহার থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করে। ট্রেনটি বাউরা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি করেনা/থামেনা। ওই স্টেশনে থামার দাবিতে মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে স্থানীয় জনগণ বাউরা রেলওয়ে স্টেশন অবরোধ করে। এ সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়া শান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেন ও বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দিনাজপুরের বিরল থেকে আসা বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটিও আটকে দেয় ছাত্র এবং স্থানীয়রা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিট) ট্রেন দুটি আটকে রাখা হয়। এতে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও বুড়িমারী এলাকার শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ে। শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের নিয়ে স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। এ সময় স্টেশন মাস্টার, টিটি ও পরিচালকদেরোকও অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্র ও স্থানীয়রা।
ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি তানভীর আনাম তামিম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন হতে বৈষমের শিকার। পার্শ্ববতী হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রেলওয়ে স্টেশন সি গ্রেড হলেও সেখানে আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। বাউরা রেলওয়ে স্টেশনটি বি গ্রেড হওয়া সত্বেও এখানে এই ট্রেন থামেনা/যাত্রাবিরতি দেয়না। এতে সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা এবং ভোগান্তি হয়। পাশাপাশি আমরা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটিও সরাসরি বুড়িমারী থেকে চলাচলের দাবি করছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ট্রেন আটক থাকবে।‘
বাউরা বাজারের পল্লী চিকিৎসক শামসুল আলম (৬০) বলেন, বড়খাতা রেলওয়ে স্টেশন ছোট হলেও সেখানে ট্রেন যাত্রাবিরতি দেয় বাউরা রেলওয়ে স্টেশনটি বড় লোকজনও/যাত্রী অনেক থাকলেও এখানে ট্রেন থামেনা।
বাউরা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা ও স্থানীয় লোকজন দুইটি ট্রেন আটকে দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।