লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এ বছর আলুর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর আলু চাষে লাভ হওয়ায় এ বছরও আলু চাষ করেছেন পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা।
আগাম আলুর দাম হঠাৎ করে কমার কারণে কৃষকেরা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। বর্তমানে কৃষকেরা মাঠে আলু বিক্রি করছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা । গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে আলুর দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাটগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলায় চাষযোগ্য জমি রয়েছে ২১ হাজার ২৬০ হেক্টর । চলতি মৌসুমে আলুর চাষ হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমিতে। গত বছর হয়েছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি অন্যান্য শীতকালীন শাকসবজি আবাদ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর জমিতে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক আজিজার রহমান (৬০) বলেন, পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও কীটনাশক জমিতে দিয়েছি। আলুর কোন রোগ দেখা দেয়নি। আগাম আলুর ফলন তুলনামূলকভাবে কম হয়। তবে এ বছর আলুর বীজের দাম বেশি।
বিদেশ থেকে আলু আসার কারণে আলুর দামও দিন- দিন কমছে। এতে আমাদের কৃষকদের তেমন লাভ হচ্ছে না।,
একই উপজেলার কৃষক হাসানুজ্জামান হাসান (৩০) ও একরামুল হক (৫০) বলেন, আমরা আগাম আলু চাষ করেছি কিছু আলু তুলেছি।
আলুর বীজ খারাপ হওয়ার কারণে ফলন কম হয়েছে। প্রতি শতকে এক মণ আলু হয়েছে। নতুন আলু বিক্রি করেছি ৪০ টাকা কেজি। এখন বিদেশ থেকে আলু আসার কারণে দাম প্রতিনিয়ত কমছে।
সার কীটনাশক এগুলোতে আমাদের প্রচুর ব্যয় হয়। যখন আলু বিদেশ থেকে আসার প্রয়োজন তখন আসে না এখন আমরা আগাম আলু তুলতেছি। এখন দেখা যাচ্ছে যে বিদেশ থেকে আলু আসছে। এ কারণে দাম কম পাচ্ছি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আলুর দাম ভালো হওয়ায় এ বছর কৃষকেরা আলু আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকছে। পাটগ্রাম উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশা করা যাচ্ছে ফলন ভালো হবে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।