লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূতি বেশি হচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের
ঠাণ্ডার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশায় চারিদিক ঢাকা থাকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ।
বুধবার (১ জানুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে আছে।
একটু উষ্ণতার জন্য লোকজন বাড়িতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। লালমনিরহাট – বুড়িমারী মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কৃষকেরা শীত উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে কাজে বেরিয়েছে। প্রচণ্ড এই শীতে বেড়েছে শীতের কাপড়ের কদর।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,আজকে রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের দিনমজুর সাগর ইসলাম কাজল (২৭) বলেন, ‘মুই (আমি) খুবই গরিব মানসি (মানুষ) । এই জারোতেও ( শীতেও) মানসির কাজ করির নাগে (লাগে)। মানসির (মানুষের) বাড়িতে কাজত না গেইলে খামো (খাবো) কি।
এ বিষয়ে কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোকছেদ আলম (৪৫) জানান, শীতে আমাদের সকাল বেলা কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা কৃষক মানুষ কষ্ট হলেও বাধ্য হয়ে সকালে কাজ করতে হয়। এখন সমাজের বিত্তবানদের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে থাকা।