
লালমনিরহাটরে পাটগ্রাম উপজলোয় ৩ সন্তানের জননী রেনুকা বেগমকে (৪৫) হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় স্বামী জবেদুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছেন পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত জবেদুল ইসলাম পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা গ্রামের রহিজ উদ্দিন কালার ছেলে । পেশায় তিনি মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।
নিহতের স্বামী জবেদুল ইসলাম এরআগে একই উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামে ফেন্সী আকতার নামের এক নারীকে বিবাহ করেন।
ওখানে তার দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম স্ত্রী ফেন্সী আকতারকেও মারপিট করতেন তিনি। তাকেও (প্রথম স্ত্রীকে) ডিবোর্স দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ওই স্ত্রী ঢাকায় গার্মেন্সে কর্মরত। তবে পুলিশ রেনুকা হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামি হিসেবে দ্বিতীয় স্বামীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেন।
রেনুকা বেগমের প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর গত প্রায় ৮ মাস পূর্বে তাকে গোপনে বিয়ে করেন জবেদুল ইসলাম। রেনুকা বেগমের প্রথম স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করতেন জবেদুল ইসলাম।
প্রায় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর আগে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে রেনুকা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে রেনুকার বড় ছেলে হাসানুজ্জামান সাগর (২২) দাবি করেন।
থানা পুলশি ও স্থানীয়রা জানায়, উপজলোর পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরকামাত এলাকার বাড়ীতে গত বুধবার দুপুরে খেতে আসেন রেনুকার ছেলে সাগর।
এ সময় ঘরের দরজায় তালা লাগানো ও বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলা এবং গৃহপালিত ছাগলের চিৎকার শুনতে পায়। মা-বাবা তামাক ক্ষেতে কাজ করতে গেছেন ভেবে মা-বাবাকে না ডেকে ছাগলকে ঘাস খাইতে দেন।
পরে সন্দেহ হলে বাইরে থেকে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর মাকে গলায় ওড়না পেছানো ও বালিশ চাপা দেওয়া মৃত অবস্থায় দেখেন তিনি।
এই সময় ট্রিপল নাইনে ( ৯৯৯) নম্বরে কল দিয়েপুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তরে জন্য লাশ পাটগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহত রেনুকা বেগমের ভাই রন্জু ওই দিন পাটগ্রাম থানায় একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাটগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জবেদুলের অবস্থান শনাক্ত করে উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলনে, রেনুকা হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামি জবেদুল ইসলামকে সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি । তাকে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।