২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি| সকাল ৮:২৪| বসন্তকাল|
শিরোনাম:
মনোহরদীতে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সভাপতি আটক শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআনের রাজ কায়েম করতে চাই পাটগ্রামে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় যুব সমাজের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নান্দাইল উপজেলা নাগরিক ফোরামের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  নান্দাইলে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত  নান্দাইলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মিম্মান সম্পাদক শামীম  মনোহরদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে ইফতার ও দোয়া মাহফিল বিনামূল্যে পথচারীদের ইফতার করালেন ‘জনতার ঈশ্বরগঞ্জ’

পাটগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
  • Update Time : বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫,
  • 25 Time View

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় তিন সন্তানের জননী রেনুকা বেগমকে (৪৫) ওড়না পেচিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তাকে কেউ হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছেন রেনুকার বড় ছেলে হাসানুজ্জামান সাগর (২২)।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরকামাত এলাকার বাড়ীতে বুধবার দুপুরে খেতে আসেন রেনুকার ছেলে সাগর।

এ সময় ঘরের দরজায় তালা লাগানো ও বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলা এবং গৃহ পালিত ছাগলের চিৎকার শুনতে পায়। মা-বাবা তামাক ক্ষেতে কাজ করতে গেছেন ভেবে মা-বাবাকে না ডেকে ছাগলকে ঘাস খাইতে দেন।

পরে সন্দেহ হলে বাইরে থেকে বন্ধ ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর মাকে গলায় ওড়না পেছানো ও বালিশ চাপা দেওয়া মৃত অবস্থায় দেখেন তিনি।

এই সময় ট্রিপল নাইনে/ ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ পাটগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এ দিন বিকেলে নিহত রেনুকার দ্বিতীয় স্বামী জবেদুল ইসলাম পাটগ্রাম থানায় আসেন।

এ সময় পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫ টা) জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা রেনুকার সাথে দ্বিতীয় স্বামী জবেদুল ইসলামের বাকবিতন্ডার জেরে তাকে গলা টিপে হত্যা করতে পারেন জবেদুল।

এ ব্যাপারে রেনুকার ছেলে হাসানুজ্জামান সাগর বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি কোম্পানির ডেলিভারী ম্যান হিসেবে কাজ করি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম ছিলাম। সৎ বাবা জাহেদুল ইসলাম বাড়িতে ছিল। বুধবার দুপুরে খেতে এসে মাকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার পর উনাকে এখানে দেখছিনা। তাঁর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাচ্ছি।’

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, রেনুকা নামে ওই নারীর মুত্যুর সঠিত কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য কাগজপত্র প্রস্তুতের কাজ চলছে। কাগজপত্র প্রস্তুত হলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ