৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি| রাত ৪:৩১| বসন্তকাল|
শিরোনাম:
পাটগ্রামে হাট-বাজারের উন্নয়ন কাজের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ভোধন  নান্দাইলে পিতৃপরিচয় ফিরে পেতে চান সন্তান রমজান  গফরগাঁওয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনদিনব্যাপি নারী উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন মনোহরদীতে ব্যবসায়ীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার পাইকগাছায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার আসামি গ্রেপ্তার ভৈরবে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাটগ্রামে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত অসুস্থ যুবদল নেতার পাশে সরদার বকুল সাপোর্টার্স ফোরাম

পাটগ্রামে বস্তায় আদা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
  • Update Time : শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫,
  • 19 Time View

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা কৃষি জমিতে আদা চাষের পাশাপাশি বস্তা পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করছেন‌।

এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আশপাশসহ পতিত জায়গায় এবং ছায়াযুক্ত স্থান, গাছ বাগানে সাথি ফসল হিসেবে এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করা যায়। এতে খরচ কম লাভ বেশি হয়।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১০ হাজার ১৫০ বস্তায় আদা চাষ হয়েছিল। এ বছর সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ হাজার বস্তা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে‌ বিধান চন্দ্র রায়ের বাড়ি। বাড়ির পাশে পুকুর ও
চারপাশ ফলজ গাছ সহ সুপারি বাগান‌।

গাছগাছালিতে ভরা। পুকুর পাড়ের দুই ধারে ও সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে বস্তা। তাতে চাষ হচ্ছে আদা ও চুই গাছ।

ইতিমধ্যে আদা গাছ তোলার সময় হয়েছে। সেখানে কথা হয় বিধান চন্দ্র রায়ের (৪৫) সঙ্গে।

তিনি বলেন, পাটগ্রাম কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী আদা চাষ করেছি। বাড়ির চারপাশে বাগান রয়েছে। সুপারি বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে বস্তায় আদা চাষ করছি। এ ছাড়াও পুকুর পাড়ের দুই ধারে বস্তায় আদা চাষ করেছি।

প্রতি বস্তায় প্রায় এক কেজি আদা হয়েছে। আমার আদা চাষ দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। আমি তাদের আগ্রহী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

আমাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। আমি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার বস্তায় আদা চাষ শুরু করি।

দাম ভালো পেলে আগামীতে ১০ হাজার বস্তা আদা চাষ করার চিন্তা করছি।

বাউরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজু হোসেন বলেন, বস্তায় সহজে ফলানো যায় আদা। আদা চাষে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন মাটিবাহিত রোগের আক্রমণ অনেক কমে যায়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে বস্তা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফফার বলেন, বস্তায় আদা চাষ অত্যন্ত সহজ এবং লাভজনক প্রযুক্তি। বস্তায় আদা চাষ করতে অতিরিক্ত বা বাড়তি কোনো জমির প্রয়োজন হয় না।

বাড়ির আশেপাশে , ছাদে, পুকুরপাড় অথবা বাগান বাড়িতে খুব সহজে বস্তায় আদা চাষ করা সম্ভব।

এতে খরচ কম এবং ফলন বেশি হওয়ায় পারিবারিক চাহিদা থাকায় দিন দিন আদা চাষ পাটগ্রাম উপজেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বস্তায় আদা চাষের মাধ্যমে মসলা জাতীয় ফসলের পারিবারিক চাহিদা খুব সহজে পূরণ করা সম্ভব। পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আদা চাষ সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরি অন্যান্য নিউজ