লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নে আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টার সময় বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার ( ২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় এলাকার নিজবাড়ীতে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মরহুম আফতাব উদ্দিন ও মহিম উদ্দিন ওয়ারিশবর্গের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জব্বারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৫ ভাই ও আমাদের চাচা মরহুম মহিম উদ্দিনের নিজনামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ওয়ারিশগণের মধ্যে বন্টননামা করার লক্ষ্যে ২০২২ সাল থেকে জরিপ, সার্ভে ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে চুড়ান্তভাবে বন্টননামা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়াও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ৯৮ শতাংশ জমি দলিলমুলে ১৯৯০ সালের মাঠ জরিপে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, সফিউল ইসলাম ও ভগ্নিপতি মরহুম আলতাফ হোসেন খন্দকারের নামে বিআরএস রেকর্ডভূক্ত হয়। খতিয়ান নম্বর ৫৮০।
উক্ত জমি ক্রয়সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। সম্প্রতি ওই জমি সামছুল আলম ও মুক্তা বেগমের লোকজন জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে আসছে।
এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট আদালতে ফৌজদারী দন্ডবিধির ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। আদালত নালিশী জমির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এ নির্দেশ অমান্য করে ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ওই জমিতে বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করে মুক্তা বেগম, শান্তা বেগম, সামছুল আলম, মাহাবুব রহমান নয়ন রব্বু, রুবেল ইসলাম, মাসুদ রানা, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় আমাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে রাবেয়া আক্তার, আঁখি আকবর ও লাকী বেগমকে মারপিট করে আহত করা হয়। আহত তিনজনই স্থানীয় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে মুক্তা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী সামছুল আলম তাঁর মা- বাবার উত্তরাধিকারী জমির অংশ পাবেন কিন্তু ভতিজারা (রফিকুল, শফিকুলরা) দেয়না। আমরা ঘটনার দিন ছিলাম না। এসব বানোয়াট।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘ আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন ও আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’