লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মাদ্রাসার কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ ওঠেছে পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ওমর আলীর ছেলে সফিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে।
উপজেলার রহমানপুর ধবলসুতী ইসলামিয়া ফোরকানিয়া (প্রস্তাবিত ক্যাডেট ও দাখিল) মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে এ বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ধবলসুতী ইসলামিয়া ফোরকানিয়া (প্রস্তাবিত ক্যাডেট ও দাখিল) মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর আলম রিপন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাসুদ রানা ও কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুর – দিনাজপুর অঞ্চলের ইউনিট সদস্য এবং ওই মাদ্রাসার সভাপতি প্রভাষক আতাউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার ভবন নির্মাণে সময় বিআরএস নম্বর ১২, ৯০২৮ দাগে মৃত রশিদুল ইসলাম, মৃত ওমর আলী, মৃত সাইমুদ্দিন, মৃত কমির উদ্দিন ও মোঃ করিম আলী ১০০ শতাংশ জমি দান করেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে মৃত ওমর আলীর ছেলে সফিয়ার রহমান মাদ্রাসার কাজে বাধা প্রদান করেন।
২০১৯ সালে সফিয়ার রহমান আদালতে মামলা দায়ের করলে তৎকালীন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজির হোসেন ও শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া কে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে রিপোর্ট প্রেরণের নির্দেশ দেন।
সফিয়ার রহমানের অভিযোগের তদন্ত ও মাদ্রাসার নামে মৃত ওমর আলীর দানকৃত জমি মাদ্রাসার নামে বহাল রেখে আদালতে রিপোর্ট প্রেরণ করলে ওই মামলা খারিজ করে দেন আদালত।
পরবর্তী সময়ে আদালতে উপস্থিত হয়ে মুচলেকা দিয়ে পিতার দানকৃত জমি সফিয়ার রহমান না দাবি জানিয়ে মাদ্রাসার নামে দেওয়ার কথা বলেন। এবং মাদ্রাসার কাজে সহযোগিতর কথা জানালেও মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সফিয়ার রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই মাদ্রাসার কমিটির বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করেন এবং তাঁর সাথে সরাসরি দেখা করার কথা বলেন।